অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে বর্তমানে নিত্যপণ্যের দামও লাগামহীনভাবে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বনিম্ন মজুরি ২২ হাজার টাকা করে অবিলম্বে মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনসহ আট দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস হেলপাররা।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (বিজিডব্লিউইউসি) আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা বলেন, নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে তাদের জীবনযাত্রার মান একেবারেই নিম্নমুখী। শ্রমিকেরা বর্তমানে অনাহারে-অর্ধাহারে কাজ করছেন। তাই সরকারের উচিত শ্রমিকদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল ও চিনির রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।
দেশে যখনই শ্রম আইন হয়েছে, সেটা শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী শব্দ চয়ন সংযোজিত হয়েছে জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব কালা-কানুন বাতিল করে শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তর এবং ডাইফির (কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর-শ্রম ও কর্মসংস্থান) দুর্নীতি আজ সীমাহীন এবং অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়কে অবিলম্বে দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এবং সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৮ দফা দাবি: ১. ৭ম গ্রেডের শ্রমিকদের জন্য ৬৫ শতাংশ মূল মজুরিসহ ২২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, ২. জানুয়ারি-২০২৩ এর মধ্যে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন, ৩. ভর্তুকি মূল্যে শ্রমিদের চাল, ডাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনি, শিশুখাদ্য রেশন হিসেবে দেওয়া, ৪. বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সরকারি সান্ধ্যকালীন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, ৫. সাম্প্রতিক বাংলাদেশ শ্রমবিধিমালায় থাকা শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী বিধি সমূহ বাতিল করে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন, ৬. বাংলাদেশ শ্রম আইন চলমান সংশোধনী প্রক্রিয়ায় শ্রমিক সংগঠন সমুহের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে একটি শ্রমিকবান্ধব শ্রম আইন প্রণয়ন, ৭. সরকারি চাকরিজীবী মায়েদের মতো বেসরকারি শিল্পের মাকেও ছয় মাস মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ সুবিধাদী শ্রম আইনে যুক্ত করা এবং ৮. ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় শ্রম অধিদপ্তরের বেআইনি হস্তক্ষেপ বন্ধ করাসহ ইউনিয়ন গঠনে ২০ শতাংশ শ্রমিকের অংশগ্রহণের বাধ্যবাধকতা বাতিল করে যেকোনো শিল্পে বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ১০ জন শ্রমিক দ্বারা ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের আইন প্রণয়ন;
বিজিডব্লিউইউজির চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্ব মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপনসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply